এক্সকাভেটরে আগুন দেওয়াসহ নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন। আজ শনিবার দুপুরে ফেনীর ফাজিলপুর এলাকায়
এক্সকাভেটরে আগুন দেওয়াসহ নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন। আজ শনিবার দুপুরে ফেনীর ফাজিলপুর এলাকায়

এক্সকাভেটরে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুরের গুদামবাজার এলাকায় চাঁদার দাবিতে এক্সকাভেটর পোড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ শনিবার দুপুরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন স্থানীয় আল আমিন মার্কেট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মাওলানা ফজলুল হক, শিক্ষক মনির আহমদ, ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আনোয়ার আলী, ঠিকাদার জামাল উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক হোসেন, আবদুল মোতালেব, ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান, আবদুল হাই, আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে একটি গোষ্ঠী এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছে। এলাকার ছোটখাটো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সড়কে কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা দাবি করছেন ওই গোষ্ঠীর সদস্যরা। তাঁদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। চাঁদাবাজেরা চাঁদা না দেওয়ায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক্সকাভেটরেও আগুন দিয়েছেন। এসব চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মাদ্রাসাশিক্ষক মাওলানা ফজলুল হক বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তরুণ-যুবকেরা শহীদ হয়েছেন একটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য। চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বাড়ানোর জন্য তাঁরা শহীদ হননি।

শিক্ষক মনির আহমদ বলেন বলেন, যাঁরা চাঁদাবাজি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। প্রশাসনকে এ বিষয়ে তৎপর হতে হবে। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক আনোয়ার আলী বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের কতিপয় চিহ্নিত চাঁদাবাজ তাঁদের চাঁদার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যেই ১ ডিসেম্বর রাতে তাঁদের ৬০ লাখ টাকার এক্সকাভেটরে আগুন দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ফাজিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান বলেন, ‘এক্সকাভেটরে আগুন দেওয়া ও চাঁদাবাজির সঙ্গে বিএনপির কেউ জড়িত নন। এ ঘটনা যাঁরা ঘটিয়েছেন, তাঁরা পতিত সরকারের দোসর। বিএনপির নেতা-কর্মীরা এমন কোনো কাজ করবেন না, যা এলাকার বা দলের ক্ষতি হয়।’