বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে রংপুরে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এদিকে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাতীয় পার্টি ও জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতা–কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে শহরের সেন্ট্রাল রোডে জাতীয় পার্টির কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের করা হয়। পরে মিছিলটি নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বর হয়ে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। রাত ১০টার দিকে সেখানে তারা সমাবেশ করে।
মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে রংপুরে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা যুক্ত ছিলেন। এই আন্দোলনে দলের দুজন কর্মী মারা যান। অনেকেই আহত হয়েছেন। কিন্তু জাতীয় পার্টিকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তাঁরা এর প্রতিবাদ জানান।
এর আগে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির বক্তব্যের প্রতিবাদে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী এস এম আশিকুর রহমান, রহমত আলী, শামসুর রহমান, আরাফাত ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে রংপুরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান এক সভায় হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির যৌথ দলের এই সভায় চেয়ারম্যান জি এম কাদের প্রধান অতিথি ছিলেন। ওই ঘোষণার প্রতিবাদে সোমবার রাতেই রংপুর নগরে বিক্ষোভ মিছিল করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। তাঁরা জাতীয় পার্টিকে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর ও মেরুদণ্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালাল হিসেবে উল্লেখ করে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোর বিরোধিতা করেন। এই পোস্টের পরপর জাতীয় পার্টির নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।