লঞ্চ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার দুদিন পর ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর লাশ উদ্ধার

লাশ
প্রতীকী ছবি

লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে যাওয়ার দুদিন পর আজ রোববার বিকেলে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী মো. শাজাহানের (৪৬) লাশ পাওয়া গেছে। ভোলার দৌলতখান উপজেলার স্বরাজগঞ্জ মাছঘাটের কাছে মেঘনা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন নৌ পুলিশে খবর দেন।

নৌ পুলিশ শাজাহানের লাশ উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন থানায় পাঠিয়েছে। সেখান থেকে নিহত ব্যক্তির পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এসব তথ্য দেন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন নৌ পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাজিব হাসান।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির ছেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. শাজাহান (৪৬) দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। শুক্রবার বিকেলে পরিবারের সঙ্গে তিনি ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি তাসরিফে ওঠেন। ওই দিন শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য শাজাহান ছেলে মো. অভির সঙ্গে বের হন। লঞ্চের শৌচাগারের ভেতরে না গিয়ে তিনি লঞ্চের কিনারে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে চান। কিন্তু ছেলে অভি বাধা দিয়ে শৌচাগারে নিতে চাইলে শাজাহান ছেলেকে একটা থাপ্পড় দিয়ে সামনে এগিয়ে লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

এওয়াজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শাজাহান ঢাকায় সিএনজি চালাতেন। গত দুই বছর আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হন। হতদরিদ্র নিঃস্ব শাজাহান চেয়েচিন্তে কিছু টাকাপয়সা সংগ্রহ করে চিকিৎসা করাতে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরিবারটি এখন আরও নিঃস্ব হলো।

লঞ্চ কোম্পানির পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, তাঁরা বৃদ্ধ শাজাহানের নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চ এবং কয়েকটি ট্রলার ভাড়া নিয়ে নদীতে খুঁজতে থাকেন। রাত ১০টা পর্যন্ত খুঁজেও কাউকে পাননি। পরে পুলিশের অনুমতি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চটি রওনা হয়। পরের দিনও ট্রলারে নিখোঁজকে খোঁজা হয়েছে। তাঁদের আন্তরিকতার কোনো কমতি ছিল না।