জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে খাজামুদ্দিন (৭০) নামে এক বৃদ্ধের গলা কেটে হত্যার দায়ে সৎভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. নুর ইসলাম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম সাদ্দাম হোসেন (৩২)। তাঁর বাড়ি ক্ষেতলাল উপজেলার মালিপাড়া গ্রামে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ক্ষেতলাল উপজেলার দাশড়া ফকির পাড়া গ্রামের খাজামুদ্দিনের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে তাঁর সৎভাই সাদ্দাম হোসেনের দ্বন্দ্ব চলছিল। ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে খাজামুদ্দিন তাঁর স্ত্রী শাহিদা বেগম রাতের খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে সৎভাই সাদ্দাম হোসেন জোর করে খাজামুদ্দিনের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় খাজামুদ্দিনের বাড়ির কাজের লোক মনতাজ হোসেন তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন। এতে সাদ্দাম ক্ষুব্ধ হয়ে মনতাজকে ছুরিকাঘাত করে বাড়িতে ঢোকেন। এরপর সাদ্দাম তাঁর সৎভাই খাজামুদ্দিনের ঘরে ঢুকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে তাঁকে হত্যা করেন। খাজামুদ্দিনের স্ত্রী বাধা দিলে সাদ্দাম তাঁকেও ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যান।
পরদিন ক্ষেতলাল থানায় হত্যা মামলা করেন খাজামুদ্দিনের ছেলে আবদুল আলিম। সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাদ্দাম হোসেনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত এই রায় দেন। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।