চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নগরের রেলওয়ে থানা প্রাঙ্গণে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে থানা প্রাঙ্গণে মিরসরাই থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে একে একে লাশ এসে পৌঁছায়। এরপর স্বজনদের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়। মিরসরাইয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়।
এ সময় জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম রাশেদ, রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
নাজিম উদ্দিন বলেন, মুচলেকার মাধ্যমে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁরা হলেন কোচিং সেন্টারের চার শিক্ষক জিয়াউল হক (২২), মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯), রিদুয়ান চৌধুরী (২২) ও ওয়াহিদুল আলম (২৩); শিক্ষার্থী সামিরুল ইসলাম হাসান, মোসাহাব আহমেদ (১৬), ইকবাল হোসেন, শান্তি শীল, মোহাম্মদ আসিফ ও সাজ্জাদ হোসেন এবং মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফা (২৬)।
শুক্রবার দুপুরে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহত হন। গুরুতর আহত হন অন্তত পাঁচজন। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে চালক ও তাঁর সহকারী ছাড়া সবাই হাটহাজারীর ‘আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ও শিক্ষক। তাঁদের সবার বাড়ি খন্দকিয়া গ্রামে। তাঁরা মিরসরাইয়ে ঝরনা দেখতে যাচ্ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউসুফ মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিহত সবাই স্কুল-কলেজের ছাত্র। পাশাপাশি তারা গ্রামে কোচিং সেন্টার চালায়। এলাকার মেধাবী এতগুলো ছেলের একসঙ্গে চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। এই শূন্যতা কীভাবে পূরণ হবে, বুঝতে পারছি না।’