৩৬ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে নিহতের স্ত্রীর মামলা

ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম নিহতের প্রতিবাদে বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন
প্রথম আলো ফাইল ছবি

ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের সময় গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম নিহতের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে ৩৬ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন তিনি। মামলা নম্বর এমপি ৪০৫/২২।

ভোলা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপপরিদর্শকসহ ৩৬ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী খাদিজা বেগমের আইনজীবী আমিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার কামাল মামলাটি আমলে নিয়ে ভোলা সদর থানা-পুলিশকে ৮ আগস্টের মধ্যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, সুরতহাল প্রতিবেদন, মেডিকেল প্রতিবেদনসহ সব তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী বিচারকের কাছে মামলাটি জুডিশিয়াল কিংবা র‌্যাব দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে সারা দেশের সঙ্গে ভোলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তেল-গ্যাস, বিদ্যুৎসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সমাবেশ ডাকা হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আবদুর রহিম তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রাম থেকে এসে সেই সমাবেশে যোগ দেন। বেলা ১১টায় শুরু হওয়া সমাবেশ সাড়ে ১১টার দিকে শেষ হলে ২৫০-৩০০ নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেন। বিক্ষোভ মিছিল শুরু হতেই পুলিশ বাধা দিয়ে লাঠিপেটা করে। লাঠিপেটার একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। এ সময় আবদুর রহিম গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। তখন পুলিশ বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভোলা জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি এখনো জানতে পারিনি। কাগজপত্র হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে ওই দিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. নুরে আলম গতকাল বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। গত রোববার ভোলায় সংঘর্ষের সময় তিনি গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাঁকে ভোলা ও বরিশালে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল।