শেখ হাসিনা জনগণের রায় নিয়েই ক্ষমতায় আছেন: মতিয়া চৌধুরী

জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী
ছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনা হত্যা-খুনের মধ্য দিয়ে দেশের ক্ষমতায় আসেননি। লড়াই-সংগ্রাম, জেল–জুলুম-নির্যাতন ভোগ করে এবং জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আছেন তিনি। আজ শনিবার বিকেলে জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস টেনে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সঙ্গে নিজের স্বার্থে সখ্য গড়ে তুলেছিলেন। পাকিস্তানের কাছে আমাদের যে পাওনা, যে হিসাব-নিকাশ ছিল, সবকিছু তিনি ভুলে গিয়েছিলেন ক্ষমতার লোভে এবং পাকিস্তানের প্রতি মহব্বত এবং ভালোবাসা থাকার কারণে। পাকিস্তানের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছিল শাহ আজিজ, তাকে নিয়েই জিয়াউর রহমান এই দলটি গড়ে তুলেছিলেন। কাজেই তাঁর হাত দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, স্বপ্নের বাংলাদেশে এবং লাখো শহীদের রক্তে সিক্ত বাংলাদেশ কিছুতেই তৈরি হতে পারে না। এর জন্য দেশের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আছেন।’

মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট বলেন, সবাই হয়েছিল পেছনের দরজা দিয়ে। শুধু বঙ্গবন্ধু জনতার রায় নিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন এবং এই দেশকে পরিচালিত করে সোনার বাংলায় রূপান্তর করেছিলেন। তাঁকেও হত্যা করা হয়েছে। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, জেল-জুলুম নির্যাতন ভোগ করেছেন। বিদেশে নির্বাসনে ছিলেন। কিন্তু তিনি কখনো বাঁকা পথে ক্ষমতায় আসেননি। একমাত্র জনগণের রায় নিয়েই বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন।

জামালপুর শহরের কাচারীপাড়া এলাকায় সিংহজানী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ত্রিবার্ষিক এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আজ বেলা তিনটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার, জামালপুর-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী প্রমুখ।

আজ বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানের মঞ্চে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীরা নিজে মাইকে তাঁদের নাম ঘোষণা করেন। সভাপতি পদে চারজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সাতজন নাম ঘোষণা করেন। পরে সব প্রার্থীকে সন্ধ্যার ৬টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। সেখান থেকে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।