নাটোরের নলডাঙ্গায় খালের দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার বাশিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় তিনটি বসতঘরও ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হচ্ছেন নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর ইউনিয়নের বাশিলা গ্রামের বাসিন্দা ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এন্তাজ আলী (৫২), ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক (৩২), মৎস্যজীবী হাবিবুর রহান (৪৫) এবং হালতি গ্রামের মো. সেলিম (২৩) ও মো.উজ্জল (২২)।
থানা–পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হালতি বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জিয়া খালের কিছু অংশ বাশিলা গ্রামের এবং কিছু অংশ হালতি গ্রামের অন্তর্গত। বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ওই খালে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। খালের মাছ ধরার জন্য উভয় গ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মীরা খালটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল ১০টার দিকে হালতি গ্রামের বিএনপি কর্মী মো. ফলেনের (৫২) নেতৃত্বে কিছু লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে বাশিলা গ্রামে জিয়া খাল দখল করতে আসেন। তখন বাশিলা গ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাঁদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পাঁচজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের নাটোর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। উভয়পক্ষ প্রতিপক্ষের অন্তত একটি করে টিনের ঘর ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং উভয় পক্ষের লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাশিলা গ্রামের এন্তাজ আলী সংঘর্ষের জন্য হালতি গ্রামের মো. ফলেনের ছেলে মো.সেলিক ও তাঁর সমর্থকদের দায়ী করেন। তবে মো.সেলিম এ ঘটনার জন্য বাশিলা গ্রামের লোকজনকে দায়ী করেছেন।
নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জানান, উভয় গ্রামের সংশ্লিষ্টরা বিএনপি নেতা-কর্মী। তবে ঘটনাটি দলীয় বিষয় নিয়ে ঘটেনি।
নলডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, খালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাশিলা ও হালতি গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। তবে তখন কাউকে সেখানে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ জমা দেননি।