সিলেটে কোনো প্রার্থীর পক্ষে নেতা-কর্মীদের কাজ না করার আহ্বান যুবদল–স্বেচ্ছাসেবক দলের

সিলেট সিটি কর্পোরেশন
সিলেট সিটি কর্পোরেশন

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির বর্তমান ও সাবেক ৪৩ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে দলটি। এবার নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।

বিবৃতিতে বহিষ্কৃত নেতা বা অন্য কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমে পৃথক বিবৃতি পাঠানো হয়। পৃথকভাবে বিবৃতি দিলেও বিবৃতির বক্তব্য ও নির্দেশনা একই ধরনের ছিল। জেলা যুবদলের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ ও মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা মো. সম্রাট হোসেন একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিধ্বস্ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি লড়াই করছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বর্তমান আওয়ামী সরকার ও তার ‘মদদপুষ্ট’ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সব ধরনের নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। এরপরও সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সিলেট বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৪৩ নেতা-কর্মীকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব বহিষ্কৃত নেতার পক্ষে বা কোনো প্রার্থীর পক্ষে যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতা ছাড়াও অন্য কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর সংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মিফতা উল কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শাকিল মোর্শেদ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আফছর খান।

গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর করা চিঠিতে সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির বর্তমান ও সাবেক ৪৩ জন নেতাকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এর আগে গত শনিবার রাতে সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ওই নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল দলটি।

বিএনপি জানায়, কারণ দর্শানোর নোটিশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের জবাব চেয়ে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে পাঁচজন নেতা জবাব দিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে কেউ সরে আসেননি। এ জন্য ওই ৪৩ নেতাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।