প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে কোটা না রাখতে মন্ত্রণালয় থেকে উপদেষ্টা পরিষদে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘সাধারণভাবে অন্য চাকরিতে যেমন সাত শতাংশ কোটা রয়েছে, এখানেও তেমনটি থাকবে। তবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও গণিতে দক্ষ করে তুলতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট নিয়োগের ২০ শতাংশ গণিত ও বিজ্ঞানের বিষয় থেকে পাস করাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
আজ রোববার খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার।
অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে মিলের (দুপুরের খাবার) আওতায় আসবে। প্রথম পর্যায়ে দেশের ১৫০টি উপজেলার সব বিদ্যালয়ে এটি চালু হবে। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় কেবল বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ সবচেয়ে কম, বাজেটের মাত্র দুই শতাংশ। কিন্তু ইউনেসকোর মতে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাজেটের ছয় শতাংশ হওয়া উচিত।
শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার উন্নতি ঘটানো এখন সময়ের দাবি মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যই হলো শিশুদের অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন করে তোলা। একই সঙ্গে তাকে ভাষাজ্ঞান ও গণিতে দক্ষ করা। যার সূচনা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই হয়। তিনি বলেন, যেসব বিদ্যালয়ে খুব কম-সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে, সেগুলোকে পার্শ্ববর্তী স্কুলের সঙ্গে একীভূত করার চিন্তা আছে।
অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের গাইড বই ও প্রাইভেট কোচিংয়ে নিরুৎসাহিত করতে হবে। শহরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করার কাজ চলমান রয়েছে।
সভায় পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকত। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. তবিবুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ফিরোজ শাহ, বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকসহ কর্মকর্তারা অংশ নেন।