বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় গত দুই দিন গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। আজ শুক্রবারও সীমান্তের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গত বুধবার রাতে টানা গোলাগুলির বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারী লোকজন আতঙ্কে ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার কোনো গোলাগুলি না হওয়ায় তাঁরা এখন স্বস্তিতে আছেন।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গতকাল ও আজ তুমব্রু, ঘুমধুম, কোণারপাড়া ও বাইশফাঁড়ি সীমানায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। এ কারণে আপতত স্বস্তিতে আছেন মানুষজন। তবে গোলাগুলি না হলেও সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সীমান্তরক্ষী বিজিপির মধ্যে লড়াই চলছে। এ কারণে পাল্টাপাল্টি আক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।
তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পপাড়ার বাসিন্দারা সীমান্তের ওপারের সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছেন, সীমানা খাল তুমব্রুর ওপর মৈত্রী সেতু এবং সেতু পার হলেই মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ঢেঁকিবনিয়া চেকপোস্ট। সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি। তারপর দক্ষিণ পাশে ঘুমধুম এলাকায় তুমব্রু রাইট ক্যাম্প। বিজিপির এই দুই স্থাপনা মাসের অধিক সময় ধরে আরাকান আর্মি অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির যুদ্ধাবস্থা চলছে। তখন থেকেই নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আশারতলি, ফুলতলি, দোছড়ির লেমুছড়ি, ঘুমধুম ইউনিয়নের ঘুমধুম, তুমব্রু, কোণারপাড়া, বাইশফাঁড়ি সীমান্তের এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছেন। সোমবার রাতে গোলাগুলির ঘটনায় তুমব্রু ও ঘুমধুমে তিনটি বিস্ফোরিত গোলার অংশ এসে পড়েছিল। এর আগে শূন্যরেখায় মর্টারশেলের অংশ এসে পড়ায় পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অর্ধদিবস ছুটি দেওয়া হয়।
পুলিশের ঘুমধুম তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, গতকাল ও আজ দুই দিন সীমান্তের ওপারে কোনো গুলির আওয়াজ শোনা যায়নি। পরিস্থিতি মোটামুটি শান্তিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তবে কখন কী হয়, বলা যায় না।