কলেজছাত্রকে একটি বেঞ্চে বসিয়ে রেখে নানা ধরনের প্রশ্ন করছেন কয়েকজন। কিছুক্ষণ পরপর থাপ্পড়, লাথি দেওয়া হচ্ছে তাকে। মুখের ওপর ছাড়া হচ্ছে সিগারেটের ধোঁয়া। ফেনীর দাগনভূঞা সরকারি ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় আজ রোববার সন্ধ্যায় দাগনভূঞা থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা।
মামলায় পাঁচজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। নামোল্লেখ করা পাঁচ আসামির মধ্যে চারজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠী এবং অন্যজনও একই কলেজের ছাত্র বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২৯ মে দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন ভুক্তভোগী একাদশ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে কলেজের তৃতীয় তলার স্কাউট কক্ষে ডেকে নেওয়া হয়। পরে তাকে কক্ষে আটকে রেখে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষার্থী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
কলেজের বিভিন্ন ছাত্রীদের মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে না দেওয়ায় ওই কলেজছাত্রকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ কলেজ পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
সরকারি ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনজুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।