প্রধানমন্ত্রীর কাছে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুসের বিচার দাবি করেছেন ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান। গতকাল সোমবার তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে এ বিচার দাবি করেন। গত সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ আসনের ভোটে কারচুপি হওয়ার দাবি করে বক্তব্য দেন এম এ কুদ্দুস। এ জন্য তাঁর বিচার দাবি করেছেন সংসদ সদস্য মোহিত।
মোহিত উর রহমান ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে লেখেন, ‘গোটা পৃথিবী যেখানে আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভের পর সবাই যখন আপনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আপনার সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ, তখন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সন্তানের রক্তের সঙ্গে আপস করা, সন্তানের খুনিদের সঙ্গে আপস করা এম এ কুদ্দুস সেই অবাধ, সুষ্ঠু আর নিরপেক্ষ নির্বাচনকে, আমাদের প্রাণপ্রিয় আপনাকে বিতর্কিত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বাক্স্বাধীনতার অর্থ মিথ্যাচার হতে পারে না।’
মোহিত উর রহমান আরও লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার কাছে আমি অগ্রিম ইস্তফা দিয়ে রাখলাম। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আপনি হয় আমার ইস্তফা গ্রহণ করবেন এবং জড়িত প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্ত করবেন, না হয় ব্যক্তিস্বার্থে বিরোধীদের হাতে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার খোরাক তুলে দেওয়ার জন্য এম এ কুদ্দুসের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করবেন। জয় হোক আপনার।’
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আমিনুল হক। নির্বাচনে এম এ কুদ্দুস আমিনুল হকের পক্ষে কাজ করেন।
ফেসবুকে নিজের এ পোস্টের সঙ্গে মোহিত উর রহমান একটি ভিডিও সংযুক্ত করে দিয়েছেন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যানারবিহীন একটি অনুষ্ঠানে মাইকে বক্তব্য দিচ্ছেন এম এ কুদ্দুস। ওই বক্তব্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘গত নির্বাচনে আপনারা ট্রাক মার্কা বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন। আমিনুল হক শামীম ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু বিকালবেলায় অদৃশ্য হাতের ইশারায় তাঁকে ফেল করানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে আজ দুপুরে এম এ কুদ্দুসের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।