নারায়ণ চন্দ্র চন্দ
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র এক দিনের রিমান্ডে

অপহরণ-ধর্ষণের সহযোগিতার মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১–এর বিচারক রাকিবুল ইসলাম তাঁর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে নারায়ণ চন্দ্রকে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থায় খুলনা জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন খান পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত তাঁর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাঁকে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থায় খুলনা জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম বলেন, সোনাডাঙ্গা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১–এর বিচারক তাঁর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগ করেন এক নারী। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ওই নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরের দিন হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সামনে থেকে কয়েকজন জোর করে ওই নারীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নারায়ণ চন্দ্র ও গাজী এজাজের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অনুসারী। তাঁদের বাঁচাতে তৎকালীন মন্ত্রী অবৈধ প্রভাব বিস্তার করায় চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগেই ওই নারীকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়।

এ ঘটনায় ধর্ষণ ও অপহরণের শিকার ওই নারীর খালাতো ভাই পরিচয় দানকারী গোলাম রসুল বাদী হয়ে গত ৯ অক্টোবর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এ ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ করেন। পরে আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাকে মামলা করার নির্দেশ দিলে ১৭ অক্টোবর গাজী এজাজ আহমেদসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। নারায়ণ চন্দ্র ওই মামলার ২ নম্বর আসামি।