জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তরে সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানের নামফলক ভেঙে ফেলায় ঠিকাদারের চার কর্মচারীকে মারধর করেছেন তাঁর অনুসারীরা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই মসজিদ উদ্বোধনের সময় এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত চারজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পৌর এলাকার সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান। সম্প্রতি মসজিদ নির্মাণের ঠিকাদার মির্জা কবীরের নির্দেশে তাঁর লোকজন মুরাদ হাসানের নামফলকটি ভেঙে ফেলেন। এ জন্য আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মসজিদটি উদ্বোধনের সময় সেখানে হট্টগোল করেন মুরাদ হাসানের অনুসারীরা। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মসজিদের বাইরে সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানের অনুসারীদের ওপর ক্ষিপ্ত হন ঠিকাদারের লোকজন। তখন মুরাদ হাসানের অনুসারীরা ঠিকাদারের লোকজনকে মারধর করেন।
লাঠিসোঁটার আঘাতে আহত ব্যক্তিরা হলেন ঠিকাদারের কাজ দেখাশোনাকারী মাসুদুর রহমান জনি (৩২), মো. রকিব (৩০), ওসমান গণি (২৮) ও সৌরভ (২৫)।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি মঞ্জুরুল মোর্শেদ তরফদার বলেন, ‘মসজিদের সামনে সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানের নামফলক ছিল। সেটি মসজিদ উদ্বোধনের আগে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর নামফলক স্থাপন করা হয়। এ জন্য তাঁর অনুসারীরা আমাদের চার কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করেছে।’
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, অনুষ্ঠানের সময় কিছু ছেলে হট্টগোল শুরু করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান বলেন, ‘আমি মডেল মসজিদ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। আমার নামফলক ঠিকাদারের লোকজন মসজিদের সামনে থেকে ভেঙে ফেলে। তাই আমার অনুসারীরা ঠিকাদারের কাছে এ নিয়ে প্রশ্ন করে। কিন্তু কাউকে মারধর করা হয়নি।’