খুলনায় ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে চাঁদাবাজির মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও এক নারীকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এক হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। খুলনা যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক এস এম মনিরুজ্জামান গতকাল সোমবার বিকেলে এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সিফাত উল্লাহ (৩০), এএসআই মিরান উদ্দিন (৩৮) ও নগরের প্রান্তিকা আবাসিক এলাকার ভাড়াটিয়া ফাতেমা বেগম (৪৪)। সিফাত খুলনা সদর থানায় এবং মিরান সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন। চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর তাঁদের পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছিল।
ওই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) ছিলেন আল আমিন উকিল। তিনি বলেন, ওই মামলার চারজন আসামির মধ্যে তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের সাজা দিয়েছেন আদালত। আর সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় এক নারীকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিরালা প্রান্তিকা আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন ওই দুই পুলিশ সদস্য। পরে ২৭ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে মুক্তি পান ওই যুবক। পরে বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানালে সদর থানা–পুলিশ রাতেই ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর তথ্য মতে এএসআই সিফাত ও এএসআই মিরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে ওই ঘটনায় ব্যবসায়ী বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন।