সৌদি আরব থেকে দাদার বাড়ি কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় প্রাইভেট কারে যাচ্ছিল এক কিশোরী। কিন্তু দাদার বাড়ি আর পৌঁছানো হয়নি তার। এর আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় সে মারা যায়। আজ মঙ্গলবার ভোরে সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার ইউটার্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ওই কিশোরীর মা–বাবা, বোনসহ চারজন আহত হয়েছেন।
নিহত কিশোরীর নাম জাহানারা আক্তার (১৭)। সে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জালাল আহমেদের মেয়ে। জাহানারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সৌদি আরব থাকত। আজ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম।
এসআই নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন পরিবার নিয়ে সৌদি আরবে আছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জালাল আহমেদ। মেয়েরা দাদার বাড়ি দেখবে বলে দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে বলছিল। মেয়েদের দাদার বাড়ি দেখাতে রোববার রাতে বিমানে বাংলাদেশে আসেন তাঁরা। রাতেই বাড়ি ফেরার জন্য প্রাইভেট কারে রওনা দেন।
আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে পদুয়া বাজার ইউটার্নে একটি ট্রাক তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে জালাল আহমেদের মেয়ে জাহানারা আক্তার ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ ছাড়া জালাল আহমেদ, তাঁর স্ত্রী বিলকিস বেগম, ছোট মেয়ে সুলতানা জাহান ও প্রাইভেট কারের চালক মো. আলাউদ্দিন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসআই নজরুল বলেন, কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাইভেট কারটি উদ্ধার ও ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রাকচালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।