দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের গরমিলে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
নির্বাচন কমিশনে আপিলের পর প্রার্থিতা ফিরে পান। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েও নিজেকে নৌকার একজন মাঝি বলেন ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন দাবি করেন মাহিয়া মাহি।
মাহিয়া মাহি বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে জিতব—বিষয়টি ওইভাবে নিচ্ছি না। কারণ, আমি নিজে মনে-প্রাণে আওয়ামী লীগকে ধারণ করি। আমি নৌকা পাইনি, কিন্তু আমিও একজন মাঝি। সেখানে আরও একজন নৌকার মাঝি আছেন। তাঁদের মধ্যে দর্শক ভোট দিয়ে যাঁকে জয়ী করবেন, তিনিই আসলে নৌকার মাঝি হবেন। বিষয়টি ওইভাবে ধরেই আমি এগোচ্ছি।’
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক হিসেবে যেকোনো জায়গা থেকে নির্বাচন করতে পারি। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ দুটোই আমার এলাকা। দুই জায়গায় আমার বেড়ে ওঠা, বড় হওয়া। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি এলাকার মানুষের জন্যই। তাঁরা জোর করে বলেছেন, “আপনাকে নির্বাচন করতে হবে।” তাঁদের পীড়াপীড়িতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি শতভাগ আশাবাদী, আমার জনপ্রিয়তা দিয়ে তাঁদের শাসক নয়, সেবক হব। আর এলাকার মানুষকে সেবা দেব। আমার বিশ্বাস, আমি বিজয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মায়ের মমতায় বরণ করে নেবেন।’
এর আগে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢালিউডের এই নায়িকা। পবিত্র ফাতিহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সব শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন মাহিয়া মাহি।
নির্বাচনে অংশ নিতে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কিন্তু সেই আসন থেকে তিনি মনোনয়ন পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে রাজশাহী-১ থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা।