গুচ্ছভুক্ত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি নিশ্চিত করছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার শাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে
গুচ্ছভুক্ত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি নিশ্চিত করছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার শাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে

ভর্তির সময় ডোপ টেস্টে ‘পজিটিভ’ তিন শিক্ষার্থী, কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা

গুচ্ছভুক্ত সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে চূড়ান্ত ভর্তির সময় ডোপ টেস্টে তিন শিক্ষার্থীর ‘পজিটিভ’ (মাদকাসক্ত) প্রতিবেদন এসেছে। তবে তাঁদের শরীরের খুবই সামান্য পরিমাণে মাদকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাঁদের তিনজনের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডোপ টেস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জহির বিন আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গত দুদিন গুচ্ছের চূড়ান্ত ভর্তির সময় ডোপ টেস্টে দুজন ছাত্র ও একজন ছাত্রীর পজিটিভ প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ওই ছাত্রী শারীরিক সমস্যার জন্য চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী দীর্ঘদিন ওষুধ খাওয়ায় প্রতিবেদন পজিটিভ এসেছে। তাঁর চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। অন্যদিকে দুই ছাত্র উৎসবের সময় বন্ধুদের সঙ্গে গাঁজা সেবন করায় তাঁদের পজিটিভ প্রতিবেদন এসেছে। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তাঁদের জিজ্ঞেস করলে ছাত্ররা তা স্বীকার করেন। তবে তাঁদের শরীরে মাদকের পরিমাণ খুবই ‘মাইনর’ (সামান্য)। ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং দলের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ডোপ টেস্ট কমিটি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তি–ইচ্ছুকদের ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। ভর্তির সময় প্রথমে শিক্ষার্থীদের ইউরিন সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিক রিপোর্ট দেওয়া হয়ে থাকে। এতে সহজেই মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা যায়। চারটি ক্যাটাগরিতে ডোপ টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বেনজুডাইয়াজিপাইন অন্তর্ভুক্ত স্লিপিং পিল, গাঁজা, ইয়াবা ও আফিম। এই চার ক্যাটাগরির যেকোনো একটির পজিটিভ রিপোর্ট এলে শিক্ষার্থীকে মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। পরে তাঁদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্লিপিং পিলের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী গ্রহণ করা হলে তা গ্রাহ্য করা হচ্ছে।

এদিকে বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার শাবিপ্রবিতে প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আরও ১৩১ আসন ফাঁকা রয়েছে। ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব আবু সাঈদ আরফিন খান জানান, দুই দিনে ১ হাজার ৬০০ ভর্তি–ইচ্ছুককে ডাকা হয়েছিল। এর মধ্যে তিন ইউনিট (এ বি সি) মিলে ১ হাজার ৫৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পন্ন করেছে। বাকি আসন পূরণের জন্য অপেক্ষাকৃত মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ডাকা হবে। এ ছাড়া কোটায় বরাদ্দ করা কয়েকটি আসন খালি রয়েছে। কয়েক দিন পর ফাঁকা আসনে ভর্তি নেওয়া হবে।