বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের ৪ কিলো এলাকায় পাহাড়ধসে মাটি পড়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ সকালে ৪ কিলো এলাকায়
বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের ৪ কিলো এলাকায় পাহাড়ধসে মাটি পড়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ সকালে ৪ কিলো এলাকায়

পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে সড়ক, রাঙামাটির সাজেকে আটকা শতাধিক পর্যটক

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির পর্যটনকেন্দ্র সাজেকের তিনটি এলাকার সড়ক। এতে আটকা পড়েছেন প্রায় শতাধিক পর্যটক। একই সময়ে বাঘাইছড়ির মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের ছয় থেকে সাত স্থানে ঘটেছে পাহাড়ধসের ঘটনা। ফলে ওই সড়কেও সকাল থেকে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল সোমবার গভীর রাতে এ পাহাড়ি ঢল ও পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মণ বলেন, সাজেক সড়কের বাঘাইহাট, ও মাচালংয়ের তিটিন এলাকায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে সড়কে তলিয়ে গেছে। এ কারণে সাজেক থেকে কোনো গাড়ি চাড়েনি। পর্যটকেরা রিসোর্টেই অবস্থান করছেন। আজ অনেক পর্যটকের সাজেক আসার কথা থাকলেও তাঁরা আসতে পারেননি। বুকিং বাতিল করেছেন।

এদিকে বড় আকারের পাহাড়ধসের কারণে আজ বেলা দেড়টাও বাঘাইছড়ির মারিশ্যা–দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল সাভাবিক হয়নি। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে দীঘিনালা,খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেশ কিছু যানবাহন রওনা হয়।

তবে সড়কের চার কিলোমিটার এলাকায় পৌঁছালে চালকেরা দেখতে পান, সড়কের ওপর পাহাড়ধসে সৃষ্ট মাটি পড়ে আছে। এতে পুরো সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া ৮ কিলো, ৯ কিলো ও দুই টিলা এলাকার অন্তত ৬ থেকে ৭ স্থানে পাহাড়ধস হয়েছে। পরে ওই সব যানবাহন পুনরায় বাঘাইছড়ি সদরে ফিরে যায়। ধসে পড়া মাটি সরানোর কাজ চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে ভারী বৃষ্টিতে বাঘাইছড়ি উপজেলায় কাচালং, বরকল উপজেলায় কর্ণফুলী, জুরাছড়ি উপজেলায় ছলক ও বিলাইছড়ি উপজেলা রেংক্যং নদীর পানি বেড়ে যায়। এতে পাহাড়ি ঢলে বেশ কিছু সবজিখেত তলিয়ে গেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

বাঘাইছড়ি জিপ মালিক সমিতির সদস্য নূর মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, সকালে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির উদ্দেশ্যে অনেক গাড়ি রওনা হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ধসে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে যেতে পারেনি।

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে বেশ কয়েক স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে সকাল থেকে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক থেকে ধসেপড়া মাটি সরানো জন্য লোকজন গেছে। তবে কখন মাটি সরানো কাজ শেষ হবে, তা বলা যাচ্ছে না।