শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ মা-ছেলের মধ্যে ছেলে সাহাবীরের (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জপসা খেয়াঘাট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ মা সালমা বেগম।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাঁচক এলাকার লোকমান ছৈয়ালের মেয়ে সালমা বেগমের সঙ্গে জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার শাজাহান মাদবরের ছেলে আজবাহার মাদবরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সালমার সঙ্গে তাঁর স্বামী আজবাহারের সম্পর্ক ঠিক থাকলেও শাশুড়ি মিলি বেগম, ননদ কলি আক্তার এবং কমলা আক্তারের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। এ নিয়ে কলহ চলছিল। গত শনিবার রাতে এসব বিষয় নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হলে ক্ষোভে রোববার বেলা ১১টার দিকে তিন সন্তান সাহাবীর, আনিকা ও সলেমানকে নিয়ে কীর্তিনাশা নদীতে ঝাঁপ দেন সালমা। নদী থেকে আনিকা ও সলেমানকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নিখোঁজ সালমা বেগম ও তাঁর ছেলে সাহাবীরকে উদ্ধারের কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ৬ ঘণ্টা নদীর তলদেশে খোঁজ করেও তাঁদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাত হওয়ায় প্রথম দিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখা হয়। আজ সকালে বড় ছেলে সাহাবীরের লাশ জপসা খেয়াঘাটের পাশে ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, আজ সকালে সাহাবীরের মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত মা সালমা বেগম নিখোঁজ। তাঁকে উদ্ধারে অভিযান চলমান আছে।