ওমরাহ শেষে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি ফেরেন সৌদিপ্রবাসী ছেলে আয়নাল হকের মা কমলা খাতুনসহ পরিবারের চার সদস্য। শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে
ওমরাহ শেষে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি ফেরেন সৌদিপ্রবাসী ছেলে আয়নাল হকের মা কমলা খাতুনসহ পরিবারের চার সদস্য। শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে

ওমরাহ করিয়ে, হেলিকপ্টারে চড়িয়ে মায়ের ইচ্ছাপূরণ ছেলের

মায়ের ইচ্ছে ছিল ওমরাহ হজ করার, জীবনে একবার হলেও হেলিকপ্টারে চড়ার। সৌদি আরব থেকে চার বছর আগে ছেলে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এলে মা তাঁর ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন। মায়ের সেই ইচ্ছে এবার পূরণ করছেন সৌদিপ্রবাসী ছেলে আয়নাল হক। ওমরাহ পালন শেষে ঢাকার হজরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে ভাড়া হেলিকপ্টার করে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামে ফিরেছেন সেই মা কমলা খাতুন (৭০)।

গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে বড়চওনা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়নাল হকের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে। এ সময় গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় জমান।

সৌদিপ্রবাসী আয়নাল হক বলেন, ‘আমি প্রায় ২২ বছর ধরে সৌদি আরবে আছি। মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতেই কিছুদিন আগে মা, আমার স্ত্রী রত্না আক্তার ও সন্তানদের হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে নিয়ে আসি। ওমরাহ পালন শেষে শনিবার সকালে ঢাকার বিমানবন্দরে নামে তারা। পরে ভাড়া হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়িতে তাদের পৌঁছে দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’

কমলা খাতুনসহ পরিবারের চার সদস্য হেলিকপ্টারে করে বাড়ি ফেরেন। শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে

প্রবাসী আয়নাল হক সখীপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামে মৃত আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। আয়নাল হকের মা কমলা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে আমার আবদার পূরণ করেছে। এখন মরে গেলেও অনেক শান্তি পাব।’

বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের গ্রামের মানুষ কখনো হেলিকপ্টার উঠানামা করতে দেখেনি। আয়নাল হক তাঁর মায়ের স্বপ্ন পূরণের উদ্যোগ নেওয়ায় আমাদের গ্রামের মানুষজন খুবই কাছ থেকে হেলিকপ্টার দেখার সুযোগ পেয়েছে। প্রবাসী ছেলের এমন উদ্যোগ গ্রামের সম্মান বয়ে এনেছে। তাঁকে আমাদের গ্রামের পক্ষ থেকে অভিনন্দন।’