কক্সবাজারের চকরিয়ার সাহারবিল থেকে উদ্ধার করা বন্যপ্রাণী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়
কক্সবাজারের চকরিয়ার সাহারবিল থেকে উদ্ধার করা বন্যপ্রাণী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়

ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো বিপন্ন লামচিতা, গন্ধগোকুল ও সাদা বক

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বিপন্ন লামচিতা, একটি গন্ধগোকুল ও এক জোড়া সাদা বক উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১৫–এর একটি দল। গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে র‍্যাবের এই অভিযান পরিচালিত হয়। পরে উদ্ধার করা প্রাণী ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‍্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব প্রাণী উদ্ধারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের বাড়ি থেকে এসব প্রাণী উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। নবী হোছাইনের বিরুদ্ধে মহিষ ও গরু চুরির অভিযোগেও একাধিক মামলা রয়েছে।

র‍্যাবের অভিযানে উদ্ধার হওয়া লামচিতা

র‍্যাব-১৫, কক্সবাজার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সূত্রে র‍্যাব জানতে পারে সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকার একটি বাড়িতে কবুতরের খাঁচায় চারটি বন্য প্রাণী আটক রয়েছে। পরে র‍্যাব অভিযান পরিচালনা করলে ওই বাড়ি থেকে একটি লামচিতা, একটি গন্ধগোকুল ও দুটি সাদা বক উদ্ধার হয়। বন্য প্রাণীগুলো প্রকৃতিতে অবমুক্ত করার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লামচিতা বা মেঘলা চিতার অস্তিত্ব পৃথিবীতে সংকটাপন্ন। আইইউসিএন এই প্রজাতিটিকে বাংলাদেশে অতি বিপন্ন হিসেবে ঘোষণা করেছে। একইভাবে গন্ধগোকুলও বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে।