কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর ও নিকলী) আসনের একটি কেন্দ্রে একদল সমর্থক এসে ভোটারদের প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারতে বলেন। পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে গাজীরচর সাদিরচর রহমানিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নৌকার একদল সমর্থক এসে কেন্দ্রটির বিভিন্ন কক্ষে অবস্থান নিয়ে নৌকার এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলেন। পৌনে ১০টার দিকে একযোগে সব কটি কক্ষে ভোটারদের প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারতে বলেন। এমন নির্দেশনা পেয়ে কিছু ভোটার সবার সামনেই নৌকায় সিল দেন, আবার কয়েকজন সিল মারতে রাজি হননি। এ নিয়ে কেন্দ্রে হট্টগোল হয়। খবর পেয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট আক্কাস মিয়া বলেন, শুরুর এক ঘণ্টা ভোটের পরিবেশ ভালোই ছিল। এর পর থেকে নৌকার সমর্থকেরা কেন্দ্রের ভেতর-বাইরে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁরা কেন্দ্রের ভেতরে নানাভাবে ঈগলের এজেন্টদের মধ্যে ভয় দেখান। পরে সবার সামনে নৌকায় সিল মারতে বলেন।
অভিযোগের বিষয়ে কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করা গাজীরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরাও চাই না অনৈতিক কিছু ঘটুক। সমস্যার কথা শুনে আমরাও প্রতিহত করতে গেছি।’
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, ‘প্রকাশ্যে সিল মারতে বলা হয়েছে, এমন অভিযোগ কানে আসামাত্র প্রতিহত করি।’
আরও পড়ুন
নিয়োগপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, ঈগলের এজেন্টশূন্য সোনাপুর কেন্দ্র
জয়পুরহাটে একটি ভোটকেন্দ্রের মূল ফটকে বিস্ফোরণ
নৌকার সমর্থকেরা বলছেন, ‘তোমাদের টেবিল নিয়ে বসার দরকার নাই, উঠে যাও’
অপর দিকে একই ইউনিয়নের গাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্র থেকে ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈগলের সমর্থকদের অভিযোগ, ভোট শুরুর আগে থেকে কেন্দ্রের বাইরে নৌকার সমর্থকেরা অবস্থান নেন। সে সময় ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের ভেতরে যেতে বাধা দেওয়া হয়। বাধা পেয়ে কয়েকজন বাড়িতে ফিরে যান, আবার কয়েকজন উপেক্ষা করে ভেতরে যান।
অভিযোগ বিষয়ে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘বাইরে কী হয়েছে, তা বলতে পারব না। তবে ভেতরে কোনো সমস্যা নেই।’
বাজিতপুর ও নিকলী উপজেলা নিয়ে কিশোরগঞ্জ-৫। এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী টানা তিনবারের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন। ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত সাহা। তিনি যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তাঁরা ছাড়া আরও পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন।