গাজীপুরে কারখানায় আগুন, প্রাণ গেল এক শ্রমিকের

ইমরান
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় পাশেই থাকা অনন্ত গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় আগুন দেয় এক দল দুর্বৃত্ত। আগুন নেভানোর পর ইমরান (৩০) নামের এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ইমরান কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ভুমবাড়িয়ার জহিরুল ইসলামের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুর রহমান বলেন, আগুন নেভানোর পর ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায় ছাইয়ের মধ্যে ওই শ্রমিকের লাশ। তাঁর দেহের অধিকাংশ অংশ পুড়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এর আগে সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি কারখানার ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগুন দেয়। তারা কারা, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকেরা বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কোনাবাড়ীর এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামের একটি কারখানায় আগুন দেন।

তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। রাত ৯টার দিকে শ্রমিকদের দেওয়া কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

উল্লেখ্য, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গতকাল সকাল থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাসের আশপাশের এলাকার কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলন শুরু করেন। বিকেলে সেই আন্দোলন কোনাবাড়ীর আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলন চলাকালে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের কয়েকবার সংঘর্ষ ঘটে। পরে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুপুরে এক শ্রমিক মারা যান। খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে তাঁরা আশপাশে ভাঙচুর করেন। তাঁরা গাজীপুর ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে কোনাবাড়ী এবিএম কারখানায় আগুন লাগিয়ে দেন। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত ৯টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। শ্রমিকদের দেওয়া আগুনে কারখানার ভেতরে ইমরান মারা যান।