লালমনিরহাট জেলার মানচিত্র
লালমনিরহাট জেলার মানচিত্র

বকেয়া বিল পরিশোধের আশ্বাসে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে ছয় ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ–সংযোগ চালু

লালমনিরহাট রেলস্টেশনে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর প্ল্যাটফর্ম, কার্যালয়সহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাসভবনে বিদ্যুৎ–সংযোগ চালু হয়েছে। বিল পরিশোধের বিষয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় দপ্তরের মৌখিক প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসের পর গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে আবার বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হয়।

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের দপ্তর ও নেসকো (লালমনিরহাট) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের আওতায় ডিভিশনাল ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার নামের দুটি বৈদ্যুতিক সংযোগের বিপরীতে নেসকোর বকেয়া বিল ছিল প্রায় ৮৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৩ জুন ২৬ লাখ টাকার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়। এর ফলে বকেয়া আছে ৫৭ লাখ ৬ হাজার ৩৭৩ টাকা। বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকায় গতকাল বেলা তিনটার দিকে সংযোগ বন্ধ করে দেয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।

গতকাল সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমাণ যাত্রী ও অন্য লোকজন প্রচণ্ড গরমে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এ সময় জেনারেটরের সাহায্যে ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেনসহ স্থানীয় ও আঞ্চলিক ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল। সন্ধ্যা হতেই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মসহ আশপাশের এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। অনেকে মুঠোফোনের লাইট জ্বালিয়ে ট্রেনে ওঠা–নামা, চলাফেরা করেন। তবে রাত ৯টায় আবার বিদ্যুৎ–সংযোগ চালুর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট রেলস্টেশনের মাস্টার নুরুন্নবী ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যার পর থেকে যাত্রীদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা যায়। সাধারণত প্রতিদিন এক–দেড় ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে সবাই অভ্যস্ত। কিন্তু বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত একটানা ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকা সত্যি অপ্রত্যাশিত।

অবশিষ্ট বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের টাকা অল্প সময়ের মধ্যে নেসকোকে পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী মো. খায়রুল ইসলাম।

নেসকোর লালমনিরহাট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার রায় জানান, প্রতিষ্ঠানটিকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের টাকা পরিশোধ করতে একাধিকবার চিঠি ও নোটিশ দেওয়া হয়। ২৩ জুন ২৬ লাখ টাকার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়। তবে অবশিষ্ট ৫৭ লাখ টাকা কবে পরিশোধ করা হবে, এ–সংক্রান্ত কোনো লিখিত বক্তব্য না পাওয়ায় গতকাল বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরপর রেলওয়ের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অবশিষ্ট বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।