ইজারার টাকা বকেয়া থাকার কারণে যুব সমবায় সমিতির পুকুরের কয়েক লাখ টাকার মাছ জাল দিয়ে ধরে জব্দের অভিযোগ পাওয়া গেছে বগুড়ার আদমদীঘির সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেনের বিরুদ্ধে। মাছ ধরার সময় উত্তেজিত গ্রামবাসীর রোষানলে পড়েন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তিনি বিকল্প পথে ওই গ্রাম থেকে চলে আসেন।
আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার ডহরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা, ইউপি চেয়ারম্যান ও মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আফরোজ দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সরকারি ৪০৭টি খাসপুকুর ও জলাশয় রয়েছে। এসব পুকুরের মধ্যে বেশির ভাগ পুকুরের ইজারার টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া টাকা আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আজ সকালে পুলিশসহ আদমদীঘি উপজেলার ডালম্বা পূর্ব পাড়া বেকার যুব সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে ইজারা নেওয়া ৯৪ শতাংশের একটি পুকুরে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন। জেলে দিয়ে ওই পুকুরে থাকা মাছ ধরেন এবং চারটি ভটভটিতে করে মাছ নিয়ে যান। পরে মাছগুলো বাজারে নিলামে বিক্রি করতে পাঠানো হয়।
ডালম্বা পূর্ব পাড়া বেকার যুব সমবায় সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, পুকুরটি তাঁর সমিতির নামে বাংলা ১৪২৮ থেকে ১৪৩০ সন পর্যন্ত ইজারা নেওয়া রয়েছে। সহকারী কমিশনারের দপ্তরে তাঁর সমিতির সাড়ে চার হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে বলে দাবি করা হয়। বকেয়া থাকার অপরাধে আজ তাঁর পুকুরে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন। অন্য উপজেলা থেকে জেলে এনে পুকুরের কয়েক লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যান। জাল দিয়ে মাছ ধরার পর প্রচুর মাছ মরে ভেসে ওঠে।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘তাৎক্ষণিক আমি ইজারার ডিসিআর দেখাতে পারিনি। পরবর্তী সময়ে ইজারার কাগজ দেখানোর সময় চাই, কিন্তু সহকারী কমিশনার তা উপেক্ষা করে পোনা মাছগুলো জব্দ করেন। মাছ ধরার সময় উত্তেজিত জনতার রোষানলে তিনি অন্য পথে চলে যান।’
আদমদীঘির সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন জানান, ওই পুকুরের বিধিমোতাবেক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আর আদমদীঘি উপজেলার ইউএনও রুমানা আফরোজ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।