সমাবেশের দিন আসতে বাধা দেওয়া হতে পারে, এমনটা ভেবে বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার অনেক নেতা-কর্মী গতকাল শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের পলিটেকনিক মাঠে পৌঁছেছেন। কেউ রাত আটটার মধ্যে, কেউ ভোরে এসে পৌঁছেছেন। কেউ এসেছেন বাসে, কেউ ট্রেনে আবার কেউ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে। রাতে সমাবেশস্থলে পৌঁছার পর নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ মাঠে, কেউ কেউ পাটি পেতে ঘুমিয়েছেন সড়কের ফুটপাতে।
আজ শনিবার ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মাঠে কথা হয় সমাবেশে যোগ দিতে আসা কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে। তাঁরা বলেন, আজ সমাবেশে আসার পথে নানা বাধার আশঙ্কা ছিল। যে কারণে তাঁরা রাতেই চলে এসেছেন।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বিএনপি কর্মী মাসুদ রানা বলেন, রাতে যমুনা এক্সেপ্রেস ট্রেনে করে তাঁরা এসেছেন। ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে নেমে পায়ে হেঁটে এসেছেন সমাবেশস্থলে। যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে বিএনপির অন্তত দেড় হাজার কর্মী এসেছেন।
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার দুওজ ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি রহিছ উদ্দিন বলেন, গতকাল দুপুর থেকেই নেত্রকোনা–ময়মনসিংহ রুটে বাস বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত দেড়টার দিকে ২৫টি সিএনজিচালিত অটোকিশায় তাঁরা রওনা হয়ে তিনটায় এসে পৌঁছান সমাবেশস্থলে। দুওজ ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী আবুল কাশেম বলেন, তাঁরা বাড়ি থেকে পাটি নিয়ে এসেছেন। রাতে সেই পাটি পেতেই কিছুক্ষণ ঘুমিয়েছেন।
সকাল সাড়ে আটটা থেকে ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম, চরপাড়া ও মাসকান্দা এলাকায় বিএনপির খণ্ড খণ্ড মিছিল দেখা যায়। মিছিলকারীরা সমাবেশস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। সকাল পৌনে নয়টায় পলিটেকনিক মাঠ ও আশপাশে বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মীকে জড়ো হতে দেখা গেছে।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি, জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দেবেন।