বগুড়ার টিএমএসএস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৩ কৃতী শিক্ষার্থীকে হেলিকপ্টারে করে ঘুরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এই শিক্ষার্থীদের মিষ্টিমুখ করিয়ে ও গলায় ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিসিএল এভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টারে করে ঘোরানো হয়।
টিএমএসএস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ সূত্রে জানা যায়, এ বছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে ১৫২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৫ জন। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ জন ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২০০ থেকে ১২৫৯ নম্বর পেয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটির প্রাথমিক শাখা থেকে পাঁচজন ট্যালেন্টপুলে ও দুজন সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। এই ২৩ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
কলেজের উপাধ্যক্ষ গুলশান আরা পারভিন বলেন, শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং বিসিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টি এম আলী হায়দার অনেক আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, কৃতিত্বপূর্ণ ও ভালো ফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বগুড়া ঘুরে দেখার সুযোগ দেওয়া হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ শিক্ষার্থীকে হেলিকপ্টারে বগুড়া ও মহাস্থানগড় ঘুরিয়ে দেখানো হয়। ১০ মিনিটের প্রতি রাইডে ৪ জন করে ২৩ শিক্ষার্থীকে হেলিকপ্টারে ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে।
কৃতী শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলে, ‘এসএসসি পরীক্ষায় ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৫৮ নম্বর পেয়ে যতটা না খুশি হয়েছি, তার চেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিলাম হেলিকপ্টারে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায়। ভালো ফল করে হেলিকপ্টারে উড়তে পারব, এটা স্বপ্নের মতোই মনে হচ্ছে।’
প্রাথমিকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া মো. আবদুল্লাহ বলে, ‘মাথার ওপর দিয়ে হেলিকপ্টার উড়ে গেলে মনে মনে ভাবতাম, ইশ্, যদি হেলিকপ্টারে উড়ে ঘুরতে পারতাম! প্রাথমিকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে আমার এত দিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। খুব উপভোগ করেছি।’
টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত টিএমএসএস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৪০০। শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ১২২। কৃতী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বগুড়া দেখানোর ঘোষণা আগেই দেওয়া হয়েছিল। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদেরও এখন থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বগুড়া ঘুরে দেখানো হবে। ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের ভালো ফল অর্জন এবং পড়ালেখায় আরও বেশি উৎসাহিত করবে।