ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহসিন আহমেদ ভূঁইয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা বিএনপি। মামলার আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে এক আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে চাঁদা দাবির ঘটনায় এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মহসিন আহমেদ ভূঁইয়াকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সশরীর উপস্থিত হয়ে লিখিত ও যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মহসিন আহমেদ ভূঁইয়া বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। গত ২৭ আগস্ট বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৬৮ নেতা-কর্মীকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা করা হয়। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুবের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ওই মামলা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হৃদয় আহমেদ ওরফে জালালের কাছে মহসিন আহমেদ ভূঁইয়া চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে তাঁদের দুজনের কথোপকথনের ২ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ডিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ৩০ আগস্ট প্রথম আলোয় ‘মামলা থেকে নাম বাদ দিতে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবির অভিযোগ, অডিও ভাইরাল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত শুক্রবার দুপুরে মহসিন আহমেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে উপজেলার চম্পকনগর বাজারে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। ‘উপজেলার সকল ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে মহসিনের ফোনালাপের কথোপকথন প্রচারিত হচ্ছে, যা দলের ভাবমূর্তি, সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে। মহসিনের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না কেন, তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সশরীর উপস্থিত হয়ে লিখিত ও যৌক্তিকভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় মহসিনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় একাধিকবার চেষ্টা করেও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।