নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের গাবুয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার একটি গাড়ি। হামলায় এটিএন বাংলার প্রতিবেদক, ক্যামেরা পারসনসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ধ্যায় একলাশপুর বাজারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদের (কিরণ) একটি পথসভা শেষ হয়। একই সময় গাবুয়া বাজারের কাছে পথসভা করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ (ট্রাক প্রতীক)। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে দুই পক্ষ গাবুয়া বাজারে মুখোমুখি হয়। এ সময় তাদের মধ্যে প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পরে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এ সময় সেখানে এটিএন বাংলার একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গাড়ির ভেতরে থাকা সাংবাদিকেরাও আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এটিএন নিউজের নোয়াখালী প্রতিনিধি ফয়জুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যায় তাঁরা একলাশপুরের অনন্তপুর এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদের পথসভা থেকে তাঁর বক্তব্য সংগ্রহ করে জেলা শহরে ফিরছিলেন। পথে গাবুয়া বাজারে নৌকার সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই কর্মী তাঁদের গাড়িতে ওঠে পড়েন। তখন নৌকার কর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করে ওই দুজনকে গাড়ি থেকে বের করেন। এ সময় এটিএন বাংলার সাংবাদিক নজিবুর রহমান ও ক্যামেরা পারসন এহসানুল গণিও হামলার শিকার হন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মিনহাজ আহমেদ অভিযোগ করেন, নৌকার সমর্থকেরা বিনা উসকানিতে তাঁর কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল তাঁর ওপর হামলা চালানো। কিন্তু তাঁর সমর্থকদের কারণে তিনি রক্ষা পেয়েছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যায় গাবুয়া বাজারে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এটিএন বাংলার একটি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।