শয়নকক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, স্ত্রী ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ

হত্যা
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের বাবু পাড়ার বাসা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহানের (৭৫) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে লাশ উদ্ধারের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী ও ছেলেকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামানসহ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আনিসুজ্জামান জানান, নিহতের মুখে রক্তের দাগ ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বাকিটা পরিষ্কার জানা যাবে। এ ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে নিহতের স্ত্রী আনজুমান আরা এবং একমাত্র ছেলে শিশির ইসলামকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহান দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক। মেয়েদের বিয়ের পর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে আলমডাঙ্গা শহরের বাবুপাড়ার দোতলা বাড়িতে বসবাস করতেন।

প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিশির ইসলাম মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এরপর থেকে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত। শিশির টাকাপয়সার জন্য প্রায়ই মা–বাবাকে চাপ দিতেন এবং মারধর করতেন। গত বুধবারও শিশির তাঁর বাবাকে কয়েক দফা মারধর করেন। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে বাড়ি থেকে আর মারধরের আওয়াজ পাওয়া যায়নি।

এদিকে শনিবার বাড়ি থেকে পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বেলা ১১টার দিকে এলাকাবাসী আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাফায়েত ইসলাম লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করেন। সুরতহালের সময় নিহত ব্যক্তির মুখে রক্তের দাগ এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ সময় পুলিশ আবদুস সোবহানের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁর স্ত্রী ও ছেলে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তাঁদের আচরণও সন্দেহজনক মনে হয়। তাই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া জানান, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।