আন্দোলন বেগবান করতে রাজশাহীতে আগামী দুদিন শিক্ষার্থীদের জনসংযোগ

সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা। এ ছাড়া আন্দোলনকে বেগবান করতে আগামী দুই দিন জনসংযোগ করার কথাও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো সময় আবার মাঠে নামার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী ও স্টুডেন্টস রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশে আনতে হবে। আর সংসদে আইন পাস করে কোটাপদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে। তাঁদের প্রত্যাশা, নির্বাহী বিভাগ নতুন করে পরিপত্র জারি করবে। এতে শিক্ষার্থীদের ঘোষিত এক দফা দাবি পূরণ হবে এবং আইনগত জটিলতা নিরসন হবে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, যত দিন পর্যন্ত তাঁদের দাবি আদায় না হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা রাজপথে থেকে নির্বাহী বিভাগের কাছে দাবি জানিয়ে যাবেন। এই অন্যায্য কোটাপদ্ধতি সংস্কার করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করাই তাঁদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সরকার শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে সংবিধানে বর্ণিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাঁরা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্যসচিব আমানউল্লাহ খান বলেন, নির্বাহী বিভাগের কাছ থেকে সদুত্তর না আসা পর্যন্ত এবং নতুন পরিপত্র জারি হওয়া না পর্যন্ত সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন আঙ্গিকে কর্মসূচি পালন করা হবে। তাঁরা থামছেন না, তাঁদের আন্দোলন চলবে। আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য অফলাইন ও অনলাইনে আগামী দুই দিন রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হল ও বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে জনসংযোগ করা হবে। এখন রাস্তায় তাঁরা পাঁচ হাজার জন আছেন। সেই সংখ্যা যেন ১৫ থেকে ২০ হাজার হয়, এ জন্যই তাঁদের এই জনসংযোগ কর্মসূচি।

সংবাদ সম্মেলনের অন্যতম সমন্বয়ক রেজওয়ান গাজী মহারাজ ও আশিকুল্লাহ মুহিব বক্তব্য দেন। এ সময় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রাকিবুল আলম ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে রুহুল কুদ্দুস সাফাত উপস্থিত ছিলেন।