খুলনায় চালককে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (ইজিবাইক) ছিনতাই করে পালাচ্ছিলেন চার তরুণ। গভীর রাতে অটোরিকশা নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের গতিরোধ করে হরিণটানা থানার পুলিশ। কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় অটোরিকশাসহ তাঁদের থানায় নিয়ে যায়। পরে জানা গেল, ওই চারজনই চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাই করে পালাচ্ছিলেন।
নিহত ওই অটোরিকশাচালকের নাম নয়ন (১৭)। তার বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামে। আটক চারজন হলেন হৃদয়, নয়ন, পারভেজ ও রবি। তাঁদের সবার বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে।
আটক তরুণদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানার দারুস সালাম মহল্লার একটি ডোবা থেকে ওই অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুপুর পর্যন্ত আটক তরুণদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, নিহত অটোরিকশাচালক নয়ন ও আটক চার তরুণ পূর্বপরিচিত। গতকাল রাতে অটোরিকশা নিয়ে পাঁচজন ঘুরতে বের হন। পরে চারজন পরিকল্পনা করে নয়নকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ডোবায় লাশ লুকিয়ে রেখে ইজিবাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। গভীর রাতে বাইপাস এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশাটি দাঁড় করায় হরিণটানা থানা-পুলিশের একটি টহল দল। এ সময় ওই চার তরুণের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ইজিবাইকসহ তাঁদের থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
মমতাজুল হক আরও বলেন, রাতে নয়ন বাড়িতে না ফেরায় সকালে হরিণটানা থানায় যান তার মা নাজমুন নাহার। থানায় গিয়ে তিনি নয়নের অটোরিকশাটি দেখতে পান। পুলিশকে বিষয়টি জানালে ওই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে তাঁরা নয়নকে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালানোর কথা স্বীকার করেন। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দারুস সালাম মহল্লার ডোবা থেকে নয়নের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি মমতাজুল হক বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নয়নের মা বাদী হয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।