শরীয়তপুরের ডামুড্যাতে পয়োনিষ্কাশন করতে গিয়ে সেফটিক ট্যাংকে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ডামুড্যা এলাকার কবির সরদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ট্যাংকের ভেতরে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসে ওই দুই পরিছন্নতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের।
নিহত দুই শ্রমিক হলেন বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পশ্চিম টেকানী এলাকার দুলু শেখের ছেলে মালেক শেখ (৪৫) ও পূর্ব টেকানী এলাকার আফসার ব্যাপারীর ছেলে লিটন ব্যাপারী (৩৫)। তাঁরা ডামুড্যার শিধলকুরা এলাকায় থাকতেন।
পুলিশ ডামুড্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে এবং আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ডামুড্যা থানা ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ডামুড্যা এলাকার বাসিন্দা কবির সরদার। তাঁর বাড়ির সেফটিক ট্যাংকের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য মালেক ও লিটন গতকাল রাতে কাজ শুরু করেন। প্রথমে তাঁরা ট্যাংকের ভেতরে পাইপ বসিয়ে পয়নিষ্কাশন করছিলেন। রাত দেড়টার দিকে লিটন ট্যাংকের ভেতরে নামলে হঠাৎ করেই নিচে পড়ে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করতে নামেন মালেক শেখ। তাঁদের কোনো সাড়া না পেয়ে ডামুড্যা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন ওই বাড়ির লোকজন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখান থেকে দুই শ্রমিককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ডাসুড্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডামুড্যা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার প্রদীপ কীর্তনীয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। সেপটিক ট্যাংকের ভেতর প্রচুর গ্যাস জমে ছিল। গ্যাস অপসারণ করে ওই দুই শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।’
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। হাসপাতাল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।