কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ জাকির হোসেন সংবাদ সম্মেলন নির্বাচন বর্জন করেছেন। আজ দুপুরে মনোহরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে
কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ জাকির হোসেন সংবাদ সম্মেলন নির্বাচন বর্জন করেছেন। আজ দুপুরে মনোহরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে

মনোহরগঞ্জে বর্তমান চেয়ারম্যানের ভোট বর্জনের ঘোষণা

ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া ও ভোটার উপস্থিতি না থাকার অভিযোগ এনে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মনোহরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিলকিছ আক্তার।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘দু-একটি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও আমার এজেন্ট নেই। কোনো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নেই। সকাল থেকে হাসনাবাদ ইউনিয়নের সব কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবদুল মান্নান চৌধুরী ও তাঁর লোকজন। বিপুলাসার ইউনিয়নের চারটি ভোটকেন্দ্র দখলে নিয়েছে। এই নির্বাচন আমি মানি না। আমি হাইকোর্টে রিট করব। এ নির্বাচন অবশ্যই বাতিল করতে হবে।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটা মনোহরগঞ্জে হয়নি। তিনি পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ফুটবল প্রতীকের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিলকিছ আক্তার বলেন, ‘অন্তত ১৮টি ভোটকেন্দ্র ঘুরে কোনো এজেন্ট পাইনি আমরা।’

মনোহরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী তিনজন। মোহাম্মদ জাকির হোসেন আনারস প্রতীক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আবদুল মান্নান চৌধুরী ঘোড়া প্রতীক ও জেলা মহিলা লীগের সদস্য টানা তিনবারের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা কুসুম দোয়াত–কলম প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন।

আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার আহম্মদ উল্লাহ উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ২ হাজার ৩১১টি ভোটের মধ্যে ৬২টি ও একই সময়ে কাঁচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ২ হাজার ৩৯২ ভোটের মধ্যে ৬৮ ভোট পড়েছিল।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নিজ উপজেলা। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর পরিবারের সব সদস্য ও অনুসারীরা আবদুল মান্নান চৌধুরীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।