পঞ্চগড়ে চা আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন এবং চা-চাষিদের কাঁচা চা-পাতার যথাযথ মূল্য পরিশোধ না করার অপরাধে তিনটি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানাকে পৃথকভাবে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সদর উপজেলার বিভিন্ন চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রুহুল আমীন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলায় চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা ও প্যাকেটজাতকরণ কারখানাগুলোর নানা অনিয়ম খতিয়ে দেখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তিনটি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় নানা অনিয়ম ও চা বোর্ডের নির্দেশনা অমান্য করার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে চা আইন ২০১৬ অনুযায়ী সদর উপজেলার মৈত্রী টি ইন্ডাস্ট্রিজকে ৫০ হাজার, উত্তরা গ্রীন টি ইন্ডাস্ট্রিজকে ৫০ হাজার এবং নর্থবেঙ্গল সেন্ট্রাল টি ইন্ডাস্ট্রিজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত কাগজপত্রের অসম্পূর্ণতা থাকায় সদর উপজেলার জগদল এলাকায় আল আমিন টি নামের একটি প্যাকেটজাতকরণ কারখানার গুদামে রাখা ১৯৭ বস্তা তৈরি চা জব্দ করেছেন। এর আগে গত শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলা শহরের পাঁচটি কুরিয়ার সার্ভিসে অভিযান চালিয়ে সঠিক কাগজপত্র না থাকায় ৪৫ বস্তা তৈরি চা জব্দ করেছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সায়েদুল হকসহ সদর থানার পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিল। এ সময় কারখানার মালিকদের চা আইন-২০১৬ যথাযথভাবে প্রতিপালনের নির্দেশনাও প্রদান করা হয়।
এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সম্পর্কে মোহাম্মদ রুহুল আমীন জানান, পঞ্চগড়ের কিছু বটলিফ কারখানার বিরুদ্ধে চা আইন লঙ্ঘন, কাঁচা চা-পাতার যথাযথ মূল্য পরিশোধ না করাসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। চা বোর্ড অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন দেখলে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।