চাকরিতে পুনর্বহাল ও কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দাবিতে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করেন চাকরিচ্যুত সাবেক বিডিআর কল্যাণ সমিতির সদস্যরা। আজ রোববার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে
চাকরিতে পুনর্বহাল ও কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দাবিতে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করেন চাকরিচ্যুত সাবেক বিডিআর কল্যাণ সমিতির সদস্যরা। আজ রোববার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে

বরিশালে সংবাদ সম্মেলন

চাকরিতে পুনর্বহাল ও কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দাবি

ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে বরিশালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তাঁরা। বিডিআর কল্যাণ পরিষদ বরিশাল জেলার ব্যানারে বরিশাল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক বিডিআর সদস্যরা দাবি করেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ সংগঠিত হয়েছে। এ জন্য সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন চাকরিচ্যুত বিডিআরের সাবেক হাবিলদার শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সুদূরপ্রসারী এক নীল নকশার অংশ। এর পেছনে মূল কারণ ছিল দেশের সেনাবাহিনী ও তৎকালীন বিডিআরের সামর্থ্যকে ধ্বংস করা। ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন শাহাদাতবরণ করেছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকার প্রহসনের বিচারের নামে নিরীহ ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করে।

সাবেক বিডিআর সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে তথাকথিত বিদ্রোহ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুতসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। এতে কয়েক হাজার বিডিআর সদস্য ও তাঁদের পরিবার চরম দুর্দশায় পড়ে। তাঁরা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে আছে, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংগঠিত ‘সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে’ তথাকথিত বিদ্রোহ হিসেবে সংজ্ঞায়িত না করে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করা; ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করা; চাকরিচ্যুত সব পদবির বিডিআর সদস্যকে সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করা; পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী ৫৭ মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা প্রদান এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস ঘোষণা।

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন চাকরিচ্যুত হাবিলদার শহিদুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, সিপাহি মনিরুজ্জামান, জসিম উদ্দীন প্রমুখ।