বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, বেপরোয়া হয়ে গেছে

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার দুপুরে বসুরহাট পৌর মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নালিশ পার্টি বিএনপি নালিশ করতে করতে এখন দেখছে নালিশেও কাজ হয় না। এখন বিএনপি খাই খাই পার্টি। তারা ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, বেপরোয়া হয়ে গেছে।’

আজ রোববার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌর মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপির) প্রথম লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় দেবে। এখন তাদের লক্ষ্য ক্ষমতা যাক, ক্ষমতার দরকার নেই। শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিক। তাদের শত্রু একজনই, সে হলো বাংলাদেশের ’৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন শেখ হাসিনা।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল লোকটা সজ্জন। কিন্তু কথাবার্তায় বড়ই বেসামাল। আমার বাবাও শিক্ষক ছিলেন। মির্জা ফখরুলও কলেজের শিক্ষক। এত গালিগালাজ করতে পারেন, এত বিষ তাঁর মুখে ভাবতেও অবাক লাগে। দেখতে মনে হয় সাচ্চা ভদ্রলোক। কিন্তু কথা যখন বলেন, তখন মনে হয়, একজন প্যাথলজিক্যাল লায়ার।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই মিথ্যাবাদী এখন বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে নাকি আওয়ামী লীগ ১০টি আসন পাবে না। ২০০৮ সালে এই ফখরুল এবং তাঁর নেত্রী আওয়ামী লীগকে মাত্র ৩০টি আসন দিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনে দেখা গেল, বিএনপি ৩০টি আসন পেয়েছে। তারা আওয়ামী লীগকে ৩০টি আসন দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আল্লার কি হুকুম, ৩০টি আসন তাদের ভাগ্যে জুটেছে। এবার যে কী হবে, তা জানি না।’

বিএনপি প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এবার আরও বেপরোয়া, বেসামাল হয়ে নালিশ করতে করতে বিদেশিদের কাছে কিছুতে কাজ হচ্ছে না। ইউরোপ এসেছে, আমেরিকা এসেছে। বিএনপি ভেবেছিল, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এই সরকারকে বিদায় দেবে। এটা ভেবেছিল না? পাইলেন কী? ঘোড়ার ডিম। ইউরোপ কী দিল, ঘোড়ার ডিম। আমেরিকা কী দিল, ঘোড়ার ডিম। এখন মুখ শুকিয়ে গেছে। নেতারা মুখে বলে না, বক্তৃতায় গালিগালাজ করে। নোয়াখালীতে এসে যে ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে, আমাকে গালিগালাজ করেছে; একজন শিক্ষক হয়ে এত খারাপ কথা, এত নোংরা কথা তার মুখ দিয়ে বের হয় কেমন করে?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, নির্বাচন হবে নির্বাচনের নিয়মে। কারও ফরমাশে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না। তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে আদালতের আদেশে। ওইটাকে আর জীবিত করে লাভ নেই। দুনিয়ার সব দেশে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হয়। ইউরোপ-আমেরিকানরা এসেছে, আমি তাদের জিজ্ঞেস করেছি, আপনাদের কোন দেশে তত্ত্বাবধায়কে ভোট হচ্ছে? তাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ভোট হয় ইউরোপও বলতে পারেনি, আমেরিকাও বলতে পারেনি। আমার অপরাধ কী? আমি সুষ্ঠু ভোট করব। অবাধ, সুষ্ঠু ভোট, বিশ্বাসযোগ্য ভোট আমি করব। এই প্রতিশ্রুতি আমি দিতে পারি।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।