অনুসারীদের নিয়ে বাস ভাঙচুরের পর চালক ও সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিএনপি। শুক্রবার রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সাংবাদিক মিনহাজ আমানকে দলবল নিয়ে প্রকাশ্যে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ঘৃণ্য অপরাধ। এ ধরনের কাজের জন্য ইকবাল হোসেনকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
ইকবাল হোসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। বিজ্ঞপ্তিতে ইকবালকে বহিষ্কারের কারণ হিসেবে কেবল সাংবাদিক মিনহাজ আমানকে মারধরের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বাস ভাঙচুর ও বাস চালককে মারধরের বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে এই ঘটনায় ইকবাল হোসেন সাংবাদিক মিনহাজ আমানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। বিষয়টির উল্লেখ করে মিনহাজ আমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন ‘সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল আমাকে ফোন করে ক্ষমা চেয়েছে। বাসায় আসতে চাচ্ছে, আমি না করে দিয়েছি। তিনি বলতে চাচ্ছেন, আমার 'পরিচয়' দেওয়ার দরকার ছিল। তাকে বলেছি আপনার লোক আপনার সামনে একজন সাধারণ নাগরিকের গায়ে হাত দিয়েছে, যে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। কোনো পরিচয়ের ইস্যু এটা না। এবং দল হিসেবে বিএনপির কি ক্ষতি হচ্ছে সেটাও তার বোঝা উচিত। অবশেষে আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু সেই রক্তাক্ত ড্রাইভারের বা সেই ভাঙা বাস মালিকের কি হবে; সে ব্যাপারে আমার জানা নাই।’
এর আগে শুক্রবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্কাতর্কির জের ধরে নারায়ণগঞ্জের সানারপাড়ে মো. নয়ন নামে আসিয়ান পরিবহনের এক বাস চালককে দলবল নিয়ে মারধর করেন ইকবাল হোসেন। এ সময় আসিয়ান পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুর করে ইকবালের সমর্থকেরা। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ওই বাসের যাত্রী সাংবাদিক মিনহাজ আমানকেও মারধর ও লাঞ্ছিত করে ইকবালের লোকজন। এই ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া না হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে বিএনপি ইকবাল হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করল।