বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কনেপক্ষের হামলায় বরের ভগ্নিপতি নিহত হওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ শনিবার নিহত ব্যক্তির স্ত্রী শিলা বেগম বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় ওই মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ কনের বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের আংড়া গ্রামের কনে পছন্দ না হওয়ায় বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোর জেরে বরপক্ষের ওপর কনেপক্ষ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বরের ভগ্নিপতি আজিজুল হক (৪৫) নিহত হন।
হামলায় নিহত আজিজুল হক খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ইছামতী গ্রামের শাহাদাত মোল্লার ছেলে। আজ শনিবার বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আজিজুল হকের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কয়েক দিন আগে ছেলে হাফিজুর রহমান গাজীর মা এবং ভগ্নিপতি মেয়ের বাড়িতে এসে তাঁকে দেখে যান। তাঁরা মেয়ে পছন্দও করেন। এরপর গতকাল ছেলেসহ তাঁদের পরিবারের কয়েকজন বিয়ে করার উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে যান। কনেপক্ষও বরপক্ষের রান্নাবান্নাসহ সব আয়োজন করে। তবে কনে পছন্দ হয়নি বলে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান ছেলে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে মারধরের ঘটনায় ছেলের ভগ্নিপতির মৃত্যু হয়। ওই হামলায় আহত হন আরও ৫ জন।
স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরের পছন্দ হলে বিয়ে হবে, এই শর্তে শুক্রবার সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে যায় বরপক্ষ। তবে দাঁতে সমস্যা থাকার কথা বলে মেয়ে পছন্দ হয়নি বলে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান বর হাফিজুর রহমান গাজী। এরপর বরপক্ষের লোকজন চলে আসার চেষ্টা করেন। এ সময় কনেপক্ষের লোকজন সঙ্গে বরপক্ষের লোকজনের ঝামেলা হয়।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, কনেপক্ষের হামলায় বরের ভগ্নিপতি নিহত হওয়ার অভিযোগে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। ওই মামলার আসামিদের মধ্যে কনের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার অপর আসামিদেরও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।