ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পটুয়াখালীর নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ উপচে নিম্নাঞ্চল ও লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। ফলে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন। আজ রোববার দুপুরে ভোগান্তির চিত্র দেখা যায়।
পটুয়াখালীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জোয়ারের সময় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ১ ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ কারণে অনেক এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এদিকে গলাচিপার পানপট্টি আগুনমুখা নদীর পাড়ের বেড়িবাঁধ রক্ষায় সেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকায় বেড়িবাঁধ জোয়ারের ঝাপটায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেকোনো সময় সম্পূর্ণ ভেঙে লোকালয় পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আজ সকাল থেকে জেলার উপকূলের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিউদ্দিন আল হেলাল প্রথম আলোকে বলেন, বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে খবর পেয়ে পাউবোকে জানানো হয়েছে। পাউবোর লোকজন এসে জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছেন।
আজ রোববার পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলার পর ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকেরা উপকূলের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং শুরু করেন। সেই সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে তাঁরা লোকজনকে সহযোগিতা করছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় প্রস্তুতি হিসেবে ৭০৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩৫টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিপিপির ৮ হাজার ৭৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠে থাকবেন। দুর্যোগ ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি তাঁরা নিয়ে রেখেছেন। তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৪ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জিআর চাল বরাদ্দ হয়েছে ৭৩০ মেট্রিক টন। শুকনো খাবার ১ হাজার ৫০০ প্যাকেট প্রস্তুত রাখা হয়েছ। শিশুখাদ্য বাবদ ১০ লাখ টাকা এবং গোখাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।