রাজশাহী মহানগরের নর্দমা (ড্রেন) থেকে তোলা কাদা বেশি দিন পড়ে থাকলে সিটি করপোরেশনের হটলাইন নম্বরে ফোন করতে বললেন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। আজ বুধবার বিকেলে নগর ভবনের এক সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। সভায় নগরবাসীর সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন মেয়র। সভায় সিটি করপোরেশনের যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতার কথাও স্বীকার করা হয়।
আজ প্রথম আলোয় শেষ পৃষ্ঠায় ‘নালার কাদায় ঢাকা ক্লিন সিটির রাস্তা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর নগর ভবনে এ সভা আহ্বান করা হয়। আগামী বর্ষা সামনে রেখে জলাবদ্ধতা নিরসনে রাজশাহী মহানগরের ৩০টি ওয়ার্ড ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সব নর্দমা পরিষ্কারকরণ কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়। মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এতে সভাপতিত্ব করেন।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সরু নর্দমাগুলো পুরোনো পদ্ধতিতে শ্রমিকদের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এতে নাগরিকদের যে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি অবহিত রয়েছেন বলে জানান। জনস্বার্থে বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখার জন্য অনুরোধ জানান এবং নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। কোথাও বেশি দিন ময়লা পড়ে থাকলে ১৬১০৫ হটলাইন নম্বরে অভিযোগ জানানোর অনুরোধ জানান মেয়র।
সভায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রমের পদ্ধতি ও অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় পরিচ্ছন্ন বিভাগ থেকে জানানো হয়, ৩০টি ওয়ার্ড ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সব নর্দমা পরিষ্কারের কার্যক্রম গত মার্চ মাস থেকে শুরু হয়ে চলমান রয়েছে। আগামী মে মাসের মধ্যে নগরের সব নর্দমা পরিষ্কারের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রশস্ত নর্দমাগুলো থেকে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ময়লা-আবর্জনা ও কাদামাটি সরাসরি উত্তোলন করে অপসারণ করা হয়। তবে সরু নর্দমাগুলো পরিষ্কারের ক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ছোট ও সরু নর্দমাগুলো থেকে পানিযুক্ত ময়লা ও কাদা সনাতন পদ্ধতিতে শ্রমিকদের মাধ্যমে উত্তোলন করে নর্দমার পাশেই রেখে পানি ঝরিয়ে তারপর তা অপসারণ করা হচ্ছে। এ সময় নাগরিক ভোগান্তি ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য মেয়র দ্রুততম সময়ের মধ্যে নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম সমাপ্ত করার নির্দেশ দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত আলী, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেবুন নেসা, সচিব মো. মোবারক হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম, উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা সেলিম রেজা প্রমুখ।