পরিচয়পত্র সংশোধনের পর বয়স্ক ভাতার কার্ড পেলেন ১১৯ বছর বয়সী আমেনা

আমেনা খাতুনের জন্ম ১৯০২ সালে হলেও পরিচয়পত্রে লেখা ছিল ১৯৮৯
ছবি: প্রথম আলো

বয়স ১১৯ বছর হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ছিল মাত্র ৩৩। যে কারণে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছিলেন না ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার দর্জিগাতী গ্রামের আমেনা খাতুন। গত ৯ আগস্ট ‘গ্রামের সবচেয়ে প্রবীণ তিনি, এনআইডিতে বয়স ৩৩’ শিরোনামে তাঁকে নিয়ে প্রথম আলোকে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

ওই সংবাদ প্রকাশের পরদিন তারাকান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওই অশীতিপর নারীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিচয়পত্র সংশোধনের উদ্যোগ নেন। কয়েক দিন পরেই সংশোধন করা হয় আমেনার জাতীয় পরিচয়পত্র। পরিচয়পত্র পাওয়ার পর এবার বয়স্ক ভাতার কার্ডও পেলেন তিনি।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ জেলার উপপরিচালক আবু আবদুল্লাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ উদ্যোগ নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে আমেনা বেগমের কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন। আজ মঙ্গলবার তারাকান্দা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রুবেল মণ্ডল আমেনার বাড়িতে গিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ড দিয়ে আসেন।

আবু আবদুল্লাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ৯ আগস্ট প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশ ও সেই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁর (আমেনা) জন্মতারিখ সংশোধনের খবরটি তিনি গতকাল সোমবার জানতে পারেন। এরপর তারাকান্দা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রুবেল মণ্ডলকে দ্রুত আমেনা খাতুনের বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন। রুবেল আজ আমেনার বাড়িতে গিয়ে কার্ড হস্তান্তর করেন।

আমেনার স্বামীর নাম প্রয়াত ছামেদ আলী। তাঁর জন্ম ১৯০২ সালে হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মসাল ছিল ১৯৮৯। বয়সের ‍ভুলের কারণে তিনি বয়স্ক ভাতা পাচ্ছিলেন না। আমেনার সাত সন্তানের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। ইয়াকুব আলী নামের এক ছেলে জীবিত। ইয়াকুব আলীর বয়স ৮৬। আমেনা তাঁর নাতির সঙ্গে থাকেন।