ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী কনটেইনার ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলের ঢাকা বিভাগ। আজ রোববার সকালে এ দুর্ঘটনার পর দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। দুর্ঘটনার পর ঢাকামুখী আপলাইন স্বাভাবিক না হওয়ায় বেলা দুইটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম অভিমুখী ডাউনলাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছিল।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মনিরুল ইসলাম বেলা দুইটায় প্রথম আলোকে বলেন, মালবাহী ট্রেনের চারটি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ায় ৪০০ মিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৯৮টি স্লিপার ভেঙে গেছে। নতুন করে স্লিপার লাগিয়ে রেললাইন চলাচলের উপযোগী করতে আরও দুই ঘণ্টা সময় লাগবে।
স্থানীয় লোকজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মালবাহী একটি কনটেইনার ট্রেন সকাল সোয়া আটটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পাঘাচং রেলস্টেশন অতিক্রম করে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের লেভেল ক্রসিং এলাকার পূর্ব দিকের আউটারে কলেজপাড়া এলাকায় পৌঁছালে মালবাহী কনটেইনার ট্রেনের ৩১ নম্বর বগির পেছনের চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। পরে স্লিপার ঘেঁষে ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন পর্যন্ত এগিয়ে যায়। এতে রেললাইনের অনেক স্লিপার ভেঙে গেছে, ফিশপ্লেট ও ক্লিপ সরে রেললাইন বেঁকে গেছে।
এ ঘটনায় রেলওয়ের ঢাকার সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা-১ (এটিও) সাজেদুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ঢাকা রেলওয়ের সহকারী সংকেত প্রকৌশলী ও সহকারী মেকানিক্যাল প্রকৌশলী (অপারেশন) এবং আখাউড়া রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ।
বেলা দুইটার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঢাকা থেকে এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তদন্ত কমিটির প্রধান সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সবে ঘটনাস্থলে পৌঁছালাম। কী ত্রুটি হয়েছে, সেটি বোঝার চেষ্টা করছি। সবকিছু দেখব, রিডিং নেব, চাকার রিডিং নেব, স্থানীয় ব্যক্তিদের বক্তব্য নেব। তারপর বুঝতে পারব কী কারণে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন মাস্টার জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মালবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় আপলাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ডাউনলাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। এতে বিলম্বে ট্রেন চলাচল করছে।