জয়পুরহাটে দুজন যাত্রী, চালকসহ একটি প্রাইভেট কার নির্মাণাধীন সেতু থেকে প্রায় ৩০ ফুট নিচে পড়ে গেছে। এতে চালকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত একটায় বটতলী-পাকার মাথা বাইপাস সড়কের ক্ষেতলাল উপজেলার ঘোনাপাড়া তুলসীগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত সেতুতে এ ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকাল ১০টায় ঘটনাস্থল ক্ষেতলাল থানা-পুলিশ পরিদর্শন করেছেন।
দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারের আহত ব্যক্তিদের স্বজনদের অভিযোগ, নির্মাণাধীন সেতুর পূর্ব দিকে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এটা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি বলে তাঁরা মন্তব্য করেন। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এই সেতুর দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধির দাবি, সেখানে বাঁশের প্রতিবন্ধকতা ছিল। সেটি ভেঙে প্রাইভেট কার প্রায় ৩০ ফুট নিচে পড়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, তুলসীগঙ্গা নদীতে নির্মাণাধীন সেতুর দক্ষিণ পাশে বিকল্প সেতু। নির্মাণাধীন সেতুর নিচে একটি প্রাইভেট কার পড়ে আছে। সেখানে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কার দেখতে লোকজন ভিড় করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত একটার দিকে বটতলী বাজারের দিকে সড়ক ফাঁকা পেয়ে একটি প্রাইভেট কার পাকার মাথার দিকে যাচ্ছিল। তুলসীগঙ্গা নদীর নির্মিত সেতু এলাকায় এসে সেটি বিকল্প সেতুতে না গিয়ে সোজা চলে নির্মাণাধীন সেতু দিয়ে। এতে প্রাইভেট কারটি ৩০ ফুট নিচে পড়ে যায়। এ সময় গাড়ির ভেতরে থাকা চালকসহ তিনজন আহত হন। নির্মাণাধীন সেতুর শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে চালক ও দুজন যাত্রীদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
দুর্ঘটনায় আহত একজনের স্বজন জিহাদ হোসেন বলেন, ‘ওই প্রাইভেট কারে আমার ফুফা ওয়াকিল মণ্ডল (৫৩) ছিলেন। তিনি নিজেই প্রাইভেট কার চালাচ্ছিলেন। তাঁর বাড়ি পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের শন্তাদিগর গ্রামে। আমার ফুফা বাড়িতে স্যানিটারি মিস্ত্রি নিয়ে কাজ করছিলেন। তিনি ওই মিস্ত্রিকে নিয়ে জয়পুরহাট শহরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, নির্মাণাধীন সেতুতে কোনো কিছু দিয়ে প্রতিবন্ধকতা ছিল না। বালু দিয়ে উঁচু করা ছিল। তার পাশ দিয়ে প্রাইভেট কার গিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে আহত তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।