শরীয়তপুরের জাজিরায় বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে জাজিরা পৌরসভার দক্ষিণ বাইকশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিকের নাম রবিউল ইসলাম (২৪)। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তখন চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রবিউল ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মোশাউজান গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্র জানায়, রবিউল ইসলাম ২০১৯ সালে লাইনম্যান হিসেবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে যোগ দেন। চাকরির শুরু থেকে তিনি শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীন কাজ করতেন। আজ জাজিরা পৌরসভার দক্ষিণ বাইকশা এলাকায় একটি সঞ্চালন লাইনে কাজ করছিলেন তিনি। তখন ওই লাইনের বিদ্যুৎ–সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। কাজ করার এক পর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ সঞ্চালন লাইনটি চালু হয়ে যায়। তা জানতেন না রবিউল। তখন তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে খুঁটি থেকে ছিটকে পড়েন। সেখানে উপস্থিত অন্য সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তখন চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনা তদন্ত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। রবিউলের লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জাজিরা আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা যখন কাজ করছিলাম, তখন ওই লাইনে বিদ্যুৎ–সংযোগ ছিল না। কাজ করার এক পর্যায়ে কেউ হয়তো লাইনটি চালু করে দিয়েছেন। তাঁর অবহেলা ও অসতর্কতায় আমাদের এক সহকর্মী জীবন হারাল।’
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক আলতাফ হোসেন বলেন, কর্মীরা সঞ্চালন লাইনে কাজ করছিলেন। তখন সেই লাইন বন্ধ থাকার কথা। সেই লাইন চালু করতে হলে সেখানে কাজ করতে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তা চালু করার কথা। কিন্তু তা কেন করা হয়নি ও ওই দুর্ঘটনায় কাদের অবহেলা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হবে। তাঁরা তিন সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এ ঘটনায় যাঁদের অবহেলা পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।