নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিএনপির নেতা এ এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৬২) বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। তাঁকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার সোনাপুর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার এ এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফুল ইসলামের লোকজন এ হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এ এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সন্ধ্যা সাতটার দিকে সোনাপুর হাটে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শরিফুল ইসলামের কর্মী ও ফাগুয়ারদিয়াড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে পেছন থেকে রড ও চেয়ার দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। জাহাঙ্গীর হোসেন গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে হাটের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলাকারীরা রড, লাঠি ও চেয়ার তুলে জাহাঙ্গীর হোসেন ও তাঁর নির্বাচনী কর্মীদের মারপিট করেন।
নাটোর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মালিহা মেহবুব জানান, জাহাঙ্গীর হোসেনের বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।
প্রত্যক্ষদর্শী দয়ারামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলম বলেন, মাগরিবের নামাজের পর জাহাঙ্গীর হোসেন বাজারের লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় হঠাৎই শরিফুল ইসলাম শরীফের কর্মী-সমর্থকেরা রড, লাঠি ও চেয়ার তুলে তাঁকে ও তাঁর নির্বাচনী কর্মীদের মারপিট করেন।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নান্নু খান বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর পরই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনের ওপর হামলা চালিয়েছে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফুল ইসলামের লোকজন। হামলার পরপরই হামলাকারীরা পালিয়ে গেছেন।’
এ ব্যাপারে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাছুদুর রহমান রাতে বলেন, ‘ঘটনাটি কিছু সময় আগে জেনেছি। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’