কুমিল্লার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক উপব্যবস্থাপক আবদুল হাই ভূঁইয়া (৬২) ও তাঁর স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগমের (৫৬) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুমিল্লার উপসহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান খান মামলাটি করেন।
আবদুল হাই ভূঁইয়া ও আঞ্জুমান আরা বেগমের বাসা কুমিল্লা নগরের পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার মুন্সী তোরাব আলী সড়কে। দুজনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লালমাই পাহাড়ের বড় ভাতুয়া গ্রামে। মামলায় আঞ্জুমান আরাকে ১ নম্বর ও আবদুল হাইকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আবদুল হাইয়ের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগমকে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দেয় দুদক সমন্বিত কার্যালয়। এরপর ৬ মার্চ তিনি সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। অনুসন্ধান চালিয়ে দুদক জানতে পারে, আঞ্জুমান আরা বেগম একজন গৃহিণী। তাঁর স্বামী বাখরাবাদের উপব্যবস্থাপক হিসেবে রাজস্ব বিভাগে কর্মরত ছিলেন। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ২ কোটি ৯১ লাখ ৪১ হাজার ৯৩৩ টাকার সম্পদের মালিক বলে হিসাব দেন আঞ্জুমান আরা। এ ছাড়া ৬ শতক জমিতে চারতলা নির্মাণাধীন একটি বাড়ির কথা উল্লেখ করলেও সেটির নির্মাণ ব্যয় উল্লেখ করেননি। প্রকৌশলীদের নিয়ে ওই বাড়ির নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করে দুদক। এতে চারতলা দুই ইউনিটের বাড়ির নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। বেশ কিছু অসামঞ্জস্যতা পাওয়ার পর দুদক আঞ্জুমান আরার নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা সম্পদের প্রমাণ পায়।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আঞ্জুমান আরা দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পদের মিথ্যা হিসাব দিয়েছেন। এ অবস্থায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রাখায় দুদক আইন ২০০৪–এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় তিনি এবং তাঁকে সহায়তা করায় স্বামী আবদুল হাই ভূঁইয়া দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুমিল্লার উপপরিচালক ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মামলা হওয়ার পর বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হবে।