রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সামসুদ্দীন চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে তাঁকে মারধর করেন তাঁর দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এ সময় তাঁকে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারা হয়। এ ঘটনায় তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ জানুয়ারি ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা করছিল ছাত্রদল। সভার একপর্যায়ে ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তি সামসুদ্দীনের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাঁর কপাল, চোখ, কপালে কিল-ঘুষি মারা হয়। ভাঙচুর করা হয় কার্যালয়ের চেয়ার।
ছাত্রদল নেতা সামসুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠনে কিছু দুষ্কৃতকারী আছে। তাঁরা অন্য সংগঠনের এজেন্ট। তাঁরা ছাত্রদলে ঢুকে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছেন। কয়েক দিন আগে জহির নামের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মারধর করা হয়। এ কারণে গত অক্টোবর তাঁদের কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি বলেন, হামলায় যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, শফিকুল ইসলাম, সম্রাট আবদুল লতিফদের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অংশ নেন।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ বলেন, বহিষ্কৃত নেতারা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছেন। তাঁরা দলীয় কার্যালয়েও ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনায় তাঁরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, তাঁরা ঘটনাটি শুনে সেখানে গিয়েছিলেন। ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে তাঁরা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।